Skip to main content

ধন ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানে ন্যায়-নীতির ভূমিকা

যে কোন কুণ্ডুলীর অষ্টম ঘর থেকে সেই কুণ্ডুলী ধারকের নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা,মৃত্যু বা মৃত্যুতুল্য কষ্টের বিচার করা হয় ।আর পজেটিভ হিসাবে গুপ্তবিদ্যা,গুপ্তধন,গুপ্তরহস্য,অনুসন্ধান বা খোঁজ,শ্বশুরবাড়ি বা জীবনসঙ্গীর ধন-পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের বিচার করা হয় ।              আমরা জানি যে সপ্তম ঘর থেকে জীবনসঙ্গী বা পার্টনার,ব্যবসা-বাণিজ্যের বিচার করা হয়ে থাকে।সেই সঙ্গে সপ্তম ঘর থেকে আমাদের সামনের সেই সব  ব্যক্তিরও বিচার করা হয়ে থাকে,যাদের সাথে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রকারের আদান:প্রদান করি ।আর অষ্টম ঘর থেকে সেই সব ব্যক্তিরও ধন-পরিবার,আত্মীয়-স্বজনের বিচার করা হয়,যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন জীবনের আদান-প্রদান বা লেনদেন করি ।                       যেভাবে লগ্নের বৈশিষ্ট্য ভালো-মন্দ বজায় থাকা নির্ভর করে লগ্নের বিপরীত ঘরের সাথে ভালো-মন্দ সম্পর্ক বজায় রাখার উপর,তেমনি আমাদের দ্বিতীয় ঘরের বা ধন-পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের ঘরের ভালো-মন্দ বজায় থাকা নির্ভর করে আমাদের অষ্টম ঘরের তথা আমাদের জীবনসঙ্গীর,বা পার্টনারের বা সামনের ব্যক্তির(যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন জীবনের লে

লগ্ন বা রাশিতে সূর্যের অবস্থান এবং শুভ ফল বৃদ্ধির উপায়

লগ্ন বা রাশিতে সূর্যের অবস্থান এবং শুভ ফল বৃদ্ধির উপায়

যে কোন কুণ্ডুলীর লগ্ন এবং রাশি হল সেই কুণ্ডুলীর মূল ভিত্তি ।লগ্ন এবং রাশির বলাবলের নির্ভর করে আমাদের জীবনের সফলতা এবং বিফলতা। যদি লগ্ন এবং রাশি বলবান হয়,তাহলে জীবন সংগ্রামে সমস্ত বাধা বিপত্তিকে দূর করে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি জীবনে ।
আর যদি লগ্ন এবং রাশি দূর্বল হয় তাহলে জীবনে সফলতা অর্জন করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । 
                                আমাদের সৌর জগতের মূল ভিত্তি হল সূর্য। সূর্যের সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে টিকে আছে আমাদের পৃথিবী সহ সমস্ত গ্রহ,নক্ষত্র সহ অসংখ্য ধুমকেতু সহ অনেক কিছু ।সূর্যকে সৌরজগতের রাজাও বলা হয় ।আর পৃথিবী সহ বাকি গ্রহ নক্ষত্র হল সূর্যের রাজ পরিবারের সদস্য ।স্বভাবতই গ্রহ-নক্ষত্রের  মধ্যে সূর্যের মহত্ব অধিক।সূর্য ছাড়া সৌর জগতের অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রের কল্পনা করা যায় না । 
                   আমরা প্রাণী জগৎ এবং উদ্ভিদ জগৎ সূর্য দেবতার আশীর্বাদের ফলে বেঁচে আছি ।সূর্যদেব প্রতিনিয়ত আলো প্রদান করে আমাদের জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ।নিজে প্রতিনিয়ত  জ্বলে আমাদেরকে আলো প্রদান করে পৃথিবী সহ সমগ্র সৌর জগতের কল্যাণ করে চলছেন ।
                        সূর্য সিংহ রাশির অধিপতি।  আর সিংহ রাশি থেকে জ্ঞান,শিক্ষা,সন্তান,বিনোদন,রোমান্সের বিচার করা হয় । যে কোন জাতক-জাতিকার লগ্ন বা রাশিতে যদি সূর্যদেব অবস্থান করেন তাহলে সেই জাতক-জাতিকারাও সূর্যের মত উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন ।অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা,নেতৃত্ব প্রদান করা এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বিদ্যমান থাকে ।সূর্যের মতো ওরা পারিবারিক বা সামাজিক দ্বায়িত্ব পালনে সদা প্রস্তুত থাকেন এবং যে কোন দায়িত্বও নিষ্ঠা সহকারে পালন করেন ।
                        সূর্য যেভাবে নিজে প্রতিনিয়ত জ্বলে আমাদের জীবনে আলো প্রদান করছেন ,লগ্ন বা রাশি স্থানে অবস্থান রত সূর্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত জাতক-জাতিকাদের মধ্যেও নিজের চিন্তা না করে অপরের কল্যাণের জন্য কাজ করতে দেখা যায়। প্রশাসনিক বড় বড় পদে বা বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজের কর্তা হিসাবে সমাজের কল্যাণে কাজ করতে এমন জাতক জাতিকাদের দেখা যায় ।
                       সূর্যের লগ্ন বা রাশিস্থানে অবস্থান যে কোন জাতক-জাতিকাকে পারিবারিক দ্বায়িত্ব পালনের জন্য বা সামাজিক দ্বায়িত্ব পালনের জন্য অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ অবস্থান হিসাবে গণ্য করা হয় যদি লগ্ন বা রাশি স্থানে অবস্থান রত সূর্য  পাপ প্রভাব যুক্ত না হয় । 
                      যদি লগ্ন বা রাশিস্থানে অবস্থান রত সূর্য শত্রু গ্রহের সাথে জ্যোতি বা একসাথে অবস্থান করে বা সূর্যের উপর  শত্রু গ্রহের দৃষ্টি পড়ে বা বা সূর্য নীচ রাশিতে অবস্থান করেন বা শত্রু রাশিতে অবস্থান করেন,তাহলে  ব্যক্তি জেদী,অহংকারী, মিথ্যাচারী এবং স্বার্থপর হয় উঠেন ।পারিবারিক বা সমাজ কল্যাণের চিন্তা সেই অবস্থায় ব্যক্তির মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না ।সেই ক্ষেত্রে নিজ স্বার্থকে ব্যক্তি বেশী গুরুত্ব দেন ।
                        যে কোন প্রকারের অশুভ প্রভাবেও লগ্ন বা রাশি স্থানে অবস্থান রত  সূর্যের বৈশিষ্ট্য যুক্ত জাতক জাতিকারাও  সূর্যের শুভ প্রভাবকে ধরে রাখতে পারেন,যদি সূর্যের কারকত্ত্বের সাথে বা বৈশিষ্ট্যের সাথে যুক্ত থাকেন ।অর্থাৎ সূর্য আলো তথা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতীক ।তাই সর্বদা নিজে,নিজের বাসস্থান এবং নিজের কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ।দ্বিতীয়ত সূর্য নির্দিষ্ট সময়ে উদিত হন এবং নির্দিষ্ট সময়ে অস্ত যান।অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট ডিসিপ্লিনের মধ্যে উদয় হন এবং অস্ত যান। তাই সূর্যের বৈশিষ্ট্য যুক্ত বা লগ্ন বা রাশি স্থানে অবস্থান রত সূর্যের জাতক-জাতিকারা জীবনে ডিসিপ্লিনকে প্রাথমিকতা দেওয়া এবং সর্বদা অপরের কল্যাণে বা সমাজের কল্যাণে কাজ করা । সাথে প্রতিদিন ভোরবেলা সূর্যদেবতাকে জল অর্ঘ্য প্রদান এবং সূর্য নমস্কার করা ।
                         উপরে বর্ণিত বিষয়গুলি মেনে চললে যে কোন প্রকারের পাপ প্রভাব দ্বারা পীড়িত সূর্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত জাতক জাতিকারাও জীবনের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি দূর করে সাফল্য পেতে পারেন জীবনে ।

Comments

Popular posts from this blog

মিথুন রাশি ও লগ্নের সুখ বৃদ্ধির চাবিকাঠি ।

  যে কোন লগ্ন বা রাশির সুখের বিচার করা হয় সেই লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘর থেকে।চতুর্থ ঘরে অবস্থান রত গ্রহ বা চতুর্থ ঘরে বিভিন্ন গ্রহের দৃষ্টি বা চতুর্থ ঘরের অধিপতির সাথে বিভিন্ন গ্রহের বা অন্য ঘরের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় যে কোন লগ্ন বা রাশির আধিকারিকের জীবনে সুখের হিসাব।                সেই সবের উপরেও যে কোন ব্যক্তির জীবনের  সুখের বিষয় নির্ভর করে চতুর্থ ঘরে অবস্থান রত রাশির উপর ।মিথুন রাশি বা লগ্নের চতুর্থ ঘরে অবস্থান রাশি হল কন্যা রাশি ।যে কন্যা রাশি কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘরের রাশি । যে রাশি থেকে কালপুরুষের রোগ,ঋণ,শত্রু বা বিভিন্ন সমস্যার বিচার করা হয় ।                     আমরা জানি যে কোন কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীকে কখনও অস্বীকার করা যায় না ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ছাড়া কুণ্ডুলী বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘর  মিথুন লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘরে অবস্থান করায় উক্ত লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘর তাদের জন্য চতুর্থ ঘরের বিষয় গুলির ক্ষেত্রে সমস্যাযুক্ত হয়ে উঠে ।                           চতুর্থ ঘর থেকে ভূমি,বাহন, মা ,মায়ের সুখ

বৃশ্চিক রাশি ও লগ্নের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায়

    যে কোন কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার অবশ্যই করতে হয়।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ছাড়া কুণ্ডুলী বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না । কালপুরুষের কুণ্ডুলীর হিসাব অনুযায়ী বৃশ্চিক রাশি হল কালপুরুষের অষ্টম ঘরের রাশি।যে রাশি থেকে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ,কষ্ট,,যন্ত্রণা, মৃত্যু বা মৃত্যুতুল্য কষ্টের বিচার করা হয় ।আর  পজেটিভ হিসাবে গুপ্তধন,গুপ্তবিদ্যা এবং গুপ্ত রহস্যের মত বিষয়ের বিচার করা হয় ।                            বৃশ্চিক লগ্ন বা রাশির, লগ্ন বা রাশি স্থানে কালপুরুষের সবচেয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভরা রাশির অবস্থান,স্বভাবতই উক্ত লগ্ন বা রাশির অধিকারীদের ব্যক্তিত্ব এবং মন মানুষিকতার মধ্যে একটা অজানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা রহস্য কাজ করে ।যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা দ্বন্দ্বভাব তাদের মধ্যে দেখা যায়।যদি না তারা নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা এবং নিয়ম নীতির মধ্যে চলেন ।আর এসবের পিছনের কারণ তাদের লগ্ন বা রাশিস্থানে  কালপুরুষের অষ্টম ঘরের প্রভাব।          আসলে বৃশ্চিক রাশিকে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রাশি বলা যায়।যে রাশি থেকে কালপুরুষের দুঃখ,কষ্ট যন্ত্রণার সাথে মৃত্যুরও বিচার কর

লগ্নে ও রাশিতে কেতুর অবস্থান ও শুভফল লাভের উপায়

কেতু ! এমন একটি নাম,যে নাম শুনলে সবার মধ্যেই কম বেশি ভয়ের বাতাবরণ কাজ করে।সৌর জগতে রাহু এবং কেতুর কোন অস্তিত্ব নেই । বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে রাহু-কেতুকে ছায়া গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ।                         পৌরাণিক কথা অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু যখন দেবতাদের মধ্যে অমৃত বণ্টন করছিলেন,তখন               স্বরভানু নামের রাক্ষস দেবতা সেজে চন্দ্র এবং সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে অমৃত বণ্টনকালীন সময়ে দেবতা সেজে অমৃত  খেয়ে নিয়েছিলেন ।ভগবান বিষ্ণুকে যখন এই কথাটি চন্দ্র এবং সূর্য জানান,তখন ভগবান বিষ্ণু উনার সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে সেই  স্বরভানু  নামের রাক্ষসের গলা কেটে দেন । কিন্তু গলা কাটার আগেই  স্বরভানু  অমৃত খেয়ে ফেলায় উনি ওমর হয়ে যান শরীরের দুই টুকরো রূপে ।মাথা থেকে গলা পর্যন্ত একভাগ,যাকে আমরা রাহু নামে জানি এবং গলা থেকে পা পর্যন্ত দ্বিতীয় ভাগ যাকে আমরা কেতু নামে জানি ।                               সূর্য ও চন্দ্র দেবতা ভগবান বিষ্ণুকে সেই সময়  স্বরভানুর  দেবরূপ ধারন করে অমৃত পান করার ঘটনাটা জানানোয় এবং যার ফল স্বরূপ উনার দেহ দু-টুকরো হওয়ার জন্য  স্বরভানু   বলেছিলেন যে সুযোগ