Skip to main content

ধন ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানে ন্যায়-নীতির ভূমিকা

যে কোন কুণ্ডুলীর অষ্টম ঘর থেকে সেই কুণ্ডুলী ধারকের নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা,মৃত্যু বা মৃত্যুতুল্য কষ্টের বিচার করা হয় ।আর পজেটিভ হিসাবে গুপ্তবিদ্যা,গুপ্তধন,গুপ্তরহস্য,অনুসন্ধান বা খোঁজ,শ্বশুরবাড়ি বা জীবনসঙ্গীর ধন-পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের বিচার করা হয় ।              আমরা জানি যে সপ্তম ঘর থেকে জীবনসঙ্গী বা পার্টনার,ব্যবসা-বাণিজ্যের বিচার করা হয়ে থাকে।সেই সঙ্গে সপ্তম ঘর থেকে আমাদের সামনের সেই সব  ব্যক্তিরও বিচার করা হয়ে থাকে,যাদের সাথে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রকারের আদান:প্রদান করি ।আর অষ্টম ঘর থেকে সেই সব ব্যক্তিরও ধন-পরিবার,আত্মীয়-স্বজনের বিচার করা হয়,যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন জীবনের আদান-প্রদান বা লেনদেন করি ।                       যেভাবে লগ্নের বৈশিষ্ট্য ভালো-মন্দ বজায় থাকা নির্ভর করে লগ্নের বিপরীত ঘরের সাথে ভালো-মন্দ সম্পর্ক বজায় রাখার উপর,তেমনি আমাদের দ্বিতীয় ঘরের বা ধন-পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের ঘরের ভালো-মন্দ বজায় থাকা নির্ভর করে আমাদের অষ্টম ঘরের তথা আমাদের জীবনসঙ্গীর,বা পার্টনারের বা সামনের ব্যক্তির(যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন জীবনের লে

লগ্ন ও রাশিতে শনির অবস্থান ও শুভফল বৃদ্ধির উপায় ।

লগ্নস্থানে বা রাশিস্থানে ন্যায় এবং কর্মের দেবতা শনিদেবের অবস্থান জাতক-জাতিকাকে ন্যায়-নীতিজ্ঞ এবং কর্মপ্রেমী করে তোলে ।এমন জাতক-জাতিকারা অল্পভাষী হন ।অর্থাৎ কম কথার পরিবর্তে কাজে বিশ্বাসী হন।কারো সাথে অন্যায়-অবিচার নিজেও করেন না এবং কারো দ্বারা অপরের প্রতি অন্যায় অবিচার সহ্যও করতে পারেন না ।
                      শনিদেবের বৈশিষ্ট্যযুক্ত জাতক জাতিকারা পরোপকারী হন। বিশেষত গরীর-শ্রমজীবী মানুষের সাহায্য- সহযোগিতা করে পরম তৃপ্তি লাভ করেন ।
                      লগ্ন বা রাশিতে শনির অবস্থানে যে কোন জাতক জাতিকার জীবনে পরিশ্রম অবশ্য অধিক করতে হয়।কিন্তু সেই পরিশ্রমের কারণে সাফল্যও আসে অধিক পরিমাণে ।শনি  লগ্ন বা রাশিতে অবস্থান করার কারণে জীবনে প্রাপ্তি অবশ্য সবকিছুই হয় ।কিন্তু শনি slow moving planet হওয়ার কারণে সবকিছু বিলম্বের মধ্যে দিয়ে প্রাপ্তি  হয়।স্বভাবতই পরিশ্রমের ফল দেরিতে আসে ।কিন্তু যা আসে, তা ব্যয় হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে । কারণ পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে কোন কিছু অর্জন করলে,সেটা ব্যয় করার আগে যে কোন ব্যক্তি শতবার চিন্তা করবেন ।
                           অতএব শ্রমের কারক গ্রহ শনি দেবের আশীর্বাদে আমরা জীবনে যা অর্জন করি,সেই সম্পদই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ।সেই সম্পদের মধ্যে আমাদের গায়ের গাম জড়িয়ে থাকে।সেই সম্পদ অর্জন করতে যে দুঃখ,কষ্ট ব্যয়িত হয়,সেই দুঃখ-কষ্ট  জড়িয়ে থাকে। সেই সম্পদের মূল্যকে আমরা বুঝতে পারি।
                       লগ্ন বা রাশি স্থানে যে কোন প্রকারের পাপ প্রভাব বিহীন শনি গ্রহের অবস্থানকে যদি ন্যায়-নীতির মধ্যে দিয়ে,শ্রমের মধ্যে দিয়ে যারা সাফল্যের স্বাদ পেতে চান বা যারা "নিজের পায়ে খাড়া "হওয়ার ইচ্ছা রাখেন মনে ,তারা অবশ্যই শুভ বলবেন ।
                     রাশি চক্রের দশম এবং একাদশ ঘরের অধিপতি শনিদেব । দশম মানে আমাদের কর্মের ঘর এবং একাদশ মানে আমাদের লাভের ঘরের মালিক শনি ।আমরা যেমন কর্ম করি শনিদেব তেমন ফল আমাদেরকে প্রদান করেন।এজন্যই শনিদেবের কর্মফল প্রক্রিয়াকে বলা হয় - "যেমন কর্ম তেমন ফল "। যদি আমরা ভালো কর্ম করি,অর্থাৎ আমাদের কর্ম অপরের বা সমাজের কল্যাণে প্রয়োগ হয়,তাহলে আমরা অবশ্যই তৃপ্তিদায়ক ফল লাভ করি। আর যদি আমাদের কর্ম দ্বারা সমাজের বা অপরের ক্ষতি সাধন হয় ,তাহলে অবশ্যই সেই কর্মের ফল শুভ হয় না ।আমাদের কর্ম এবং কর্মফলের মধ্যে ভালোমন্দ পরিণামের জন্য আমরাই দায়ী ।শনি দেবতা কোনভাবেই দায়ী নন ।
               লগ্ন বা রাশি স্থানে অবস্থান রত শনি জীবনে সমস্যা উৎপন্ন করে সেই পরিস্থিতিতে,যদি শনির উপর শনির কোন শত্রু গ্রহের প্রভাব পরে বা শনি শত্রু রাশিতে অবস্থান করেন বা নিচ রাশিতে অবস্থান করেন তখন।অর্থাৎ  আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মিল নেই এমন কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে বা আপনি যেখানে কাজ করছেন,সেই জায়গার মালিক বা ম্যানেজারের সাথে আপনার চিন্তা ধারার মিল নেই বা আপনি যেখানে কাজ করছেন সেই জায়গাটা আপনার জন্য comfortable নয় ।
                                   সেই অবস্থাতেও শনির বৈশিষ্ট্যকে ধরে রাখা যায় যদি নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা মত আমরা চলি ।অর্থাৎ যে কোন পরিস্থিতিতে ন্যায়-নীতির মধ্যে দিয়ে চলা,ধর্মের মধ্যে দিয়ে চলা,কর্মের সাথে যুক্ত থাকা,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে সর্বদা অগ্রাধিকার দেওয়া।অসাধু কার্য্যকলাপ থেকে দূরে থাকা এবং কুখাদ্য খাওয়া থেকে দূরে থাকা।সেই সাথে শনিবারে শনি ভগবানের আরাধনা করা এবং শনিদেবের আশীর্বাদ প্রাপ্তির জন্য শনিবারে মদ মাংস জাতীয় খাবার বর্জন করা ।
                              শনি আমাদের শরীরের লৌহ কণিকার কারকও। উপরে বর্ণিত বিষয়গুলি মেনে চললে আমাদের লৌহ কণিকা দূষিত হবে না এবং আমাদের শরীরও সবল থাকবে ।ফলস্বরুপ আমাদের কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে এবং আমরা বাধা বিপত্তি দূর করে সাফল্য পেতে পারি জীবনে ।

Comments

Popular posts from this blog

মিথুন রাশি ও লগ্নের সুখ বৃদ্ধির চাবিকাঠি ।

  যে কোন লগ্ন বা রাশির সুখের বিচার করা হয় সেই লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘর থেকে।চতুর্থ ঘরে অবস্থান রত গ্রহ বা চতুর্থ ঘরে বিভিন্ন গ্রহের দৃষ্টি বা চতুর্থ ঘরের অধিপতির সাথে বিভিন্ন গ্রহের বা অন্য ঘরের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় যে কোন লগ্ন বা রাশির আধিকারিকের জীবনে সুখের হিসাব।                সেই সবের উপরেও যে কোন ব্যক্তির জীবনের  সুখের বিষয় নির্ভর করে চতুর্থ ঘরে অবস্থান রত রাশির উপর ।মিথুন রাশি বা লগ্নের চতুর্থ ঘরে অবস্থান রাশি হল কন্যা রাশি ।যে কন্যা রাশি কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘরের রাশি । যে রাশি থেকে কালপুরুষের রোগ,ঋণ,শত্রু বা বিভিন্ন সমস্যার বিচার করা হয় ।                     আমরা জানি যে কোন কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীকে কখনও অস্বীকার করা যায় না ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ছাড়া কুণ্ডুলী বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘর  মিথুন লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘরে অবস্থান করায় উক্ত লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘর তাদের জন্য চতুর্থ ঘরের বিষয় গুলির ক্ষেত্রে সমস্যাযুক্ত হয়ে উঠে ।                           চতুর্থ ঘর থেকে ভূমি,বাহন, মা ,মায়ের সুখ

বৃশ্চিক রাশি ও লগ্নের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায়

    যে কোন কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার অবশ্যই করতে হয়।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ছাড়া কুণ্ডুলী বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না । কালপুরুষের কুণ্ডুলীর হিসাব অনুযায়ী বৃশ্চিক রাশি হল কালপুরুষের অষ্টম ঘরের রাশি।যে রাশি থেকে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ,কষ্ট,,যন্ত্রণা, মৃত্যু বা মৃত্যুতুল্য কষ্টের বিচার করা হয় ।আর  পজেটিভ হিসাবে গুপ্তধন,গুপ্তবিদ্যা এবং গুপ্ত রহস্যের মত বিষয়ের বিচার করা হয় ।                            বৃশ্চিক লগ্ন বা রাশির, লগ্ন বা রাশি স্থানে কালপুরুষের সবচেয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভরা রাশির অবস্থান,স্বভাবতই উক্ত লগ্ন বা রাশির অধিকারীদের ব্যক্তিত্ব এবং মন মানুষিকতার মধ্যে একটা অজানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা রহস্য কাজ করে ।যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা দ্বন্দ্বভাব তাদের মধ্যে দেখা যায়।যদি না তারা নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা এবং নিয়ম নীতির মধ্যে চলেন ।আর এসবের পিছনের কারণ তাদের লগ্ন বা রাশিস্থানে  কালপুরুষের অষ্টম ঘরের প্রভাব।          আসলে বৃশ্চিক রাশিকে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রাশি বলা যায়।যে রাশি থেকে কালপুরুষের দুঃখ,কষ্ট যন্ত্রণার সাথে মৃত্যুরও বিচার কর

লগ্নে ও রাশিতে কেতুর অবস্থান ও শুভফল লাভের উপায়

কেতু ! এমন একটি নাম,যে নাম শুনলে সবার মধ্যেই কম বেশি ভয়ের বাতাবরণ কাজ করে।সৌর জগতে রাহু এবং কেতুর কোন অস্তিত্ব নেই । বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে রাহু-কেতুকে ছায়া গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ।                         পৌরাণিক কথা অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু যখন দেবতাদের মধ্যে অমৃত বণ্টন করছিলেন,তখন               স্বরভানু নামের রাক্ষস দেবতা সেজে চন্দ্র এবং সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে অমৃত বণ্টনকালীন সময়ে দেবতা সেজে অমৃত  খেয়ে নিয়েছিলেন ।ভগবান বিষ্ণুকে যখন এই কথাটি চন্দ্র এবং সূর্য জানান,তখন ভগবান বিষ্ণু উনার সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে সেই  স্বরভানু  নামের রাক্ষসের গলা কেটে দেন । কিন্তু গলা কাটার আগেই  স্বরভানু  অমৃত খেয়ে ফেলায় উনি ওমর হয়ে যান শরীরের দুই টুকরো রূপে ।মাথা থেকে গলা পর্যন্ত একভাগ,যাকে আমরা রাহু নামে জানি এবং গলা থেকে পা পর্যন্ত দ্বিতীয় ভাগ যাকে আমরা কেতু নামে জানি ।                               সূর্য ও চন্দ্র দেবতা ভগবান বিষ্ণুকে সেই সময়  স্বরভানুর  দেবরূপ ধারন করে অমৃত পান করার ঘটনাটা জানানোয় এবং যার ফল স্বরূপ উনার দেহ দু-টুকরো হওয়ার জন্য  স্বরভানু   বলেছিলেন যে সুযোগ