Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2024

ধন ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানে ন্যায়-নীতির ভূমিকা

যে কোন কুণ্ডুলীর অষ্টম ঘর থেকে সেই কুণ্ডুলী ধারকের নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা,মৃত্যু বা মৃত্যুতুল্য কষ্টের বিচার করা হয় ।আর পজেটিভ হিসাবে গুপ্তবিদ্যা,গুপ্তধন,গুপ্তরহস্য,অনুসন্ধান বা খোঁজ,শ্বশুরবাড়ি বা জীবনসঙ্গীর ধন-পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের বিচার করা হয় ।              আমরা জানি যে সপ্তম ঘর থেকে জীবনসঙ্গী বা পার্টনার,ব্যবসা-বাণিজ্যের বিচার করা হয়ে থাকে।সেই সঙ্গে সপ্তম ঘর থেকে আমাদের সামনের সেই সব  ব্যক্তিরও বিচার করা হয়ে থাকে,যাদের সাথে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রকারের আদান:প্রদান করি ।আর অষ্টম ঘর থেকে সেই সব ব্যক্তিরও ধন-পরিবার,আত্মীয়-স্বজনের বিচার করা হয়,যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন জীবনের আদান-প্রদান বা লেনদেন করি ।                       যেভাবে লগ্নের বৈশিষ্ট্য ভালো-মন্দ বজায় থাকা নির্ভর করে লগ্নের বিপরীত ঘরের সাথে ভালো-মন্দ সম্পর্ক বজায় রাখার উপর,তেমনি আমাদের দ্বিতীয় ঘরের বা ধন-পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের ঘরের ভালো-মন্দ বজায় থাকা নির্ভর করে আমাদের অষ্টম ঘরের তথা আমাদের জীবনসঙ্গীর,বা পার্টনারের বা সামনের ব্যক্তির(যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন জীবনের লে

কর্কট লগ্ন ও রাশির সন্তান সমস্যা ও সমাধানের উপায়

যে কোন কুণ্ডুলীর সন্তান সম্বন্ধীয় বিষয়ের বিচার সেই কুণ্ডুলী ধারকের পঞ্চম ঘর থেকে করা হয় ।পঞ্চম ঘরে অবস্থিত গ্রহ ,পঞ্চম ঘর ,পঞ্চম ঘরের অধিপতি গ্রহ এবং সন্তান কারক গ্রহ দেবগুরু বৃহস্পতির বলাবলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় যে কোন জাতক জাতিকার সন্তান ভাগ্য ।          যদি  পঞ্চম ঘর,পঞ্চম ঘরের অধিপতি গ্রহ এবং গুরু শুভ প্রভাব যুক্ত হন,তাহলে জাতক-জাতিকার সন্তান ভাগ্য শুভ হয় ।আর যদি অশুভ প্রভাব যুক্ত হয়,তাহলে সন্তান ভাগ্য শুভ হয় না ।                          উপরিউক্ত বিষয়গুলি বিচারের বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিচার করতে হয় ।আর সেটা হল - কালপুরুষের কুণ্ডুলির বিচার ।আমরা জানি যে যে কোন কুণ্ডুলি বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলির বিচার করা বিশেষ প্রয়োজন ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ব্যতীত যে কোন  কুণ্ডুলীর বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না ।                                  যদি আমরা কর্কট লগ্ন বা রাশির পঞ্চম ঘর বা সন্তানের ঘরের বিচার করতে যাই,তাহলে আমরা দেখতে পাই যে ,উক্ত লগ্ন বা রাশির পঞ্চম ঘরের রাশি হল বৃশ্চিক রাশি ।যে রাশি থেকে কালপুরুষের  কুণ্ডুলীর নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ,কষ্ট,যন্ত্

সপ্তম ঘরে কেতুর অবস্থান ও শুভফল পাওয়ার উপায় ।

কেতু ! এমন একটি নাম,যে নাম শুনলে সবার মধ্যেই কম বেশি ভয়ের বাতাবরণ কাজ করে।সৌর জগতে রাহু এবং কেতুর কোন অস্তিত্ব নেই । বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে রাহু-কেতুকে ছায়া গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ।                         পৌরাণিক কথা অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু যখন দেবতাদের মধ্যে অমৃত বণ্টন করছিলেন,তখন               স্বরভানু নামের রাক্ষস দেবতা সেজে চন্দ্র এবং সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে অমৃত বণ্টনকালীন সময়ে দেবতা সেজে অমৃত  খেয়ে নিয়েছিলেন ।ভগবান বিষ্ণুকে যখন এই কথাটি চন্দ্র এবং সূর্য জানান,তখন ভগবান বিষ্ণু উনার সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে সেই  স্বরভানু  নামের রাক্ষসের গলা কেটে দেন । কিন্তু গলা কাটার আগেই  স্বরভানু  অমৃত খেয়ে ফেলায় উনি ওমর হয়ে যান শরীরের দুই টুকরো রূপে ।মাথা থেকে গলা পর্যন্ত একভাগ,যাকে আমরা রাহু নামে জানি এবং গলা থেকে পা পর্যন্ত দ্বিতীয় ভাগ যাকে আমরা কেতু নামে জানি ।                               সূর্য ও চন্দ্র দেবতা ভগবান বিষ্ণুকে সেই সময়  স্বরভানুর  দেবরূপ ধারন করে অমৃত পান করার ঘটনাটা জানানোয় এবং যার ফল স্বরূপ উনার দেহ দু-টুকরো হওয়ার জন্য  স্বরভানু   বলেছিলেন যে সুযোগ

সপ্তম ঘরে মঙ্গলের অবস্থান ও শুভফল প্রাপ্তির উপায়

যে কোন কুণ্ডুলীর সপ্তম ঘর থেকে সেই কুণ্ডুলী আধিকারিকের জীবন সঙ্গী,পার্টনার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের  বিচার করা হয় ।সেই সাথে সপ্তম ঘর যেহেতু আমাদের লগ্ন বা রাশির বিপরীত ঘর অতএব আমাদের বিপরীতের প্রত্যেক ব্যক্তি,যাদের সাথে আমরা দৈনন্দিন বিভিন্ন লেনদেন করি,তাদের বিচারও সপ্তম ঘর থেকে করা হয় ।                      সপ্তম ঘরের রাশি, রাশির অধিপতি গ্রহ এবং বিবাহ কারক শুক্র, গুরুর বলাবলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় যে কোন ব্যক্তির বিবাহিত জীবনের  ভাগ্য। যদি সপ্তম ঘর,সপ্তম ঘরের অধিপতি এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে বিবাহ কারক গ্রহ শুক্র এবং স্ত্রীদের ক্ষেত্রে বিবাহ কারক গুরু শুভ গ্রহের প্রভাব যুক্ত হয়,তাহলে ব্যক্তির বিবাহিত জীবন সুন্দর এবং মসৃণ হয় ।আর যদি সপ্তম ঘর,সপ্তম ঘরের অধিপতি এবং বিবাহ কারক গুরু,শুক্র অশুভ প্রভাব যুক্ত হয়,তাহলে বিবাহিত জীবনে বিভিন্ন সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় ।                             যাই হোক এ পৃথিবীতে সমস্যা যেমন  রয়েছে , সব সমস্যার সমাধানও অবশ্যই রয়েছে । বিবাহ স্থানে ক্রুর গ্রহের অবস্থানে বিবাহিত জীবনে বিভিন্ন সমস্যা উৎপন্ন হলে,সেই মত ব্যবস্থা নিলে বা সেই গ্রহের

কুম্ভ লগ্ন ও রাশির ধন-পরিবার

যে কোন লগ্ন বা রাশির দ্বিতীয় ঘর থেকে সেই লগ্ন বা রাশির ধন,পরিবার,আত্মীয়-স্বজন,খাওয়া-খাদ্য এবং আমাদের বাণী বা মুখের কথার বিচার করা হয় ।                         আমরা জানি যে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ছাড়া যে কোন কুণ্ডুলীর বিচার কখনও সম্পূর্ণ হতে পারে না ।কুম্ভ লগ্ন বা রাশির দ্বিতীয় ঘরের রাশি হল কালপুরুষের কুণ্ডুলীর দ্বাদশ ঘরের বা ব্যয়ের ঘরের রাশি । যে রাশি থেকে কালপুরুষের জীবনের বিভিন্ন খরচের বিচার করা হয় ।কুম্ভ লগ্ন বা রাশির দ্বিতীয় ঘরে কালপুরুষের ব্যয়ের ঘরের অবস্থান  স্বভাবতই তাদের দ্বিতীয় ঘরের বিষয়াদির ব্যয়ের বা খরচের ইঙ্গিতবহ । অর্থাৎ ধন,পরিবার,আত্মীয়-স্বজন,খাওয়া-খাদ্য বা মুখের বানী বা কথার দ্বারা ব্যয়কে বোঝায়।                        ব্যয় যদি প্রয়োজনীয় হয়,তাহলে সেই ব্যয় আমাদের জন্য হানিকারক হয় না বা আমরা সেই ব্যয়কে হানিকারিক ভাবি না ।আর যদি ব্যয় অপ্রয়োজনীয় হয় বা সেই ব্যয়ের কারণে আমরা সমস্যার সম্মুখীন  বা সেই ব্যয় আমাদের বর্তমান বা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকারক হয় তাহলে সেই ব্যয় অবশ্যই আমাদের জন্য দুঃখদায়ী ।                                   যদ

বৃশ্চিক লগ্ন ও রাশির ধন ও পরিবার

যে কোন লগ্ন বা রাশির দ্বিতীয় ঘর থেকে ধন,পরিবার,আত্মীয়-স্বজন,আমাদের খাবার দাবার এবং আমাদের মুখের বাণী বা কথার বিচার করা হয় । বৃশ্চিক লগ্ন ও রাশির দ্বিতীয় ঘরের রাশি হল ধনু রাশি । যে রাশি থেকে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ধর্ম, ভাগ্য,পিতা ও উচ্চশিক্ষার বিচার করা হয় ।              কালপুরুষের ভাগ্যের ঘরের মত মহত্বপূর্ণ একটি ঘর বৃশ্চিক লগ্ন বা রাশির  দ্বিতীয় ঘরে অবস্থান করায়,উক্ত লগ্ন বা রাশির অধিকারীদের জীবনে তাদের  দ্বিতীয় ঘর অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে ।তাদের দ্বিতীয় ঘরের বিষয়াদির দ্বারা তাদের ভাগ্যের গঠনের ইঙ্গিত করে ।              দ্বিতীয় ঘরের বিষয়াদি অর্থাৎ ধন সম্বন্ধীয় বিষয়ের সাথে যুক্ত কর্ম,যেমন - ব্যাংকিং সেক্টরের সাথে যুক্ত কর্ম,CSC সেন্টার স্থাপন,পারিবারিক ব্যবসা বা পরিবারের সাথে যুক্ত কর্ম, আত্মীয়-স্বজনের সাথে যুক্ত কর্ম, খাওয়া-খাদ্যের  বিষয়ের সাথে যুক্ত কর্ম বা consultancy এর মত কর্ম যেখানে মুখের কথা বা বানী ব্যবহার করতে হয় ।উপরি উল্লেখিত বিষয়ের সাথে যুক্ত হয়ে কর্ম করলে বৃশ্চিক লগ্ন বা রাশির অধিকারীরা ধন সঞ্চয় এবং পারিবারিক ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করতে পারেন বা উক্ত সব বি

ধন আগমনের সময় কাল

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই সময়-বিশেষ আশাতীত ধনের আগমন ঘটে। আবার এমনও সময় আসে যখন ধারণার বাইরে অত্যাধিক ব্যয় হয়। আজকের বিষয় ধন আগমনের সময় কাল             অর্থ ত্রিকোণ ভাব যা 2/6/10 ঘর বা ভাবকে বলা হয় এবং লাভ ভাব তথা  একাদশ ভাবের দশা অর্থ উপার্জনের জন্য কল্যাণকারী দশা হয় থাকে ।ওই দশা বা অন্তর্দশার সময়কালে অর্থ উপার্জনের নতুন নতুন সূত্র তৈরী হয় এবং সেই সব সূত্র থেকে ধন বা অর্থ উপার্জন হয় ।            এই  হিসাবের বাইরেও একটা সময় আসে যখন কোন না সূত্র থেকে আমাদের ধন প্রাপ্তি হয় । সেই সূত্র অবশ্য আলাদা আলাদা লগ্নের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে ।                  তাহলে স্বভাবতই মনে কৌতূহল জাগে যে কখন সেই সময়,যখন মা লক্ষী আমাদের উপর সদয় হন ?                       এর উত্তর লুকায়িক রয়েছে আমাদের লগ্ন কুণ্ডুলী এবং নবাংশ কুণ্ডুলীর সংমিশ্রণের মধ্যে ।  আমাদের লগ্ন কুণ্ডুলীর  ধনভাব এবং লাভভাবের মালিক নবাংশ কুণ্ডুলীর  যে রাশিতে বসে, সেই রাশির ত্রিকোণ ভাবের উপর দিয়ে যখন গুরুর গোচর হয়, সেই সময় সেই জাতক-জাতিকার  ধন লাভ হয় ।                          প্রশ্ন আসবে কোন ত্রিকোণ ভ

মিথুন রাশির কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের সঠিক পথ

মিথুন রাশি বা লগ্ন হল আমাদের বুদ্ধির প্রদানকারী গ্রহ বুধের রাশি।বুদ্ধিদীপ্ত কাজের প্রতি এই লগ্ন বা রাশির আগ্রহ থাকে ।মোবাইল, ল্যাপটপ,কম্পিউটার,ইন্টারনেট এর মত নতুন নতুন উদ্ভাবনী কাজের প্রতি উক্ত লগ্ন রাশির জাতক জাতিকাদের আগ্রহ অধিক দেখা যায় ।                        মিথুন রাশি বা লগ্নের তৃতীয় ঘরে কালপুরুষের পঞ্চম ভাবের রাশি  তথা কালপুরুষের জ্ঞান শিক্ষা,সন্তান,মনোরঞ্জন,প্রেম-ভালবাসা বিচার করার ঘর অবস্থান করায়, মিথুন লগ্ন বা রাশির জাতক জাতিকারা কালপুরুষের পঞ্চম ঘরের বৈশিষ্ট্যযুক্ত বিষয়ের সাথে মিথুন রাশির বৈশিষ্ট্যকে সংযুক্ত করে কর্ম করলে সাফল্য আসে জীবনে ।                 কম্পিউটার শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বিক্রয় ও পরিষেবা, কম্পিউটার-ইন্টারনেট সংযুক্ত কর্ম, ইন্টারনেট পরিষেবা, ইন্টারনেট কনটেন্ট রাইটিং,ব্লগ তৈরী,আর্টিকেল লেখা বা উপরিল্লেখিত বিষয়গুলির সাথে কোন না কোন ভাবে যুক্ত হয়ে কর্ম করলে পরিশ্রম সার্থকতা লাভ করে। আরো পড়ুন মিথুন রাশি ও লগ্নের সুখ বৃদ্ধির চাবিকাঠি । কর্কট রাশির প্রেম জীবন কন্যা লগ্ন ও রাশির বিবাহিত জীবনের সমস্যা ও সমাধান । মিথুন

মকর লগ্ন ও রাশির লাভের ঘর।

প্রত্যেক লগ্ন বা রাশির  একাদশ ঘরকে  লাভের ঘর বলা  হয়। আমাদের জীবনে বিভিন্ন সূত্র থেকে যে সব লাভের প্রাপ্তি হয়,সেই সব লাভের বিচার একাদশ ঘর থেকে করা হয় ।একাদশ ঘরকে ইচ্ছাপূর্তির ঘরও বলা হয় ।এছাড়া একাদশ ঘর থেকে আমাদের সামাজিক ছবি বা সমাজের সাথে সম্পর্ক,বন্ধু-বান্ধব সহ আরও অনেক বিষয়ের বিচার করা হয় ।               মকর লগ্ন বা রাশির একাদশ ঘরের রাশি হল বৃশ্চিক রাশি। আমরা জানি কালপুরুষের কুণ্ডুলী ব্যতীত যে কোন কুণ্ডুলী বিশ্লেষণ কখনও সম্পূর্ণ হয় না ।সেই অনুযায়ী বৃশ্চিক রাশি হল কালপুরুষের কুণ্ডুলীর অষ্টম ঘরের রাশি ।যে রাশি থেকে কালপুরুষের নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ,কষ্ট,যন্ত্রণা,হঠাৎ সমস্যা,মৃত্যু বা মৃত্যুতুল্য কষ্টের বিচার করা হয় ।আর পজেটিভ হিসাবে গুপ্তবিদ্যা,গুপ্তধন,গুপ্ত রহস্যের মত বিষয়ের বিচার করা হয় ।                           মকর লগ্ন বা রাশির একাদশ বা ইচ্ছাপূর্তির ঘরে কালপুরুষের সবচেয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভরা রাশির অবস্থানে উক্ত লগ্ন বা রাশির জাতক-জাতিকাদের লাভের ঘর দ্বারা বিভিন্ন সমস্যা,দুঃখ,কষ্ট বা যন্ত্রণা পেতে দেখা যায়।যদি না জাতক-জাতিকা তাদের একাদশ ঘরের বিষয়াদি স

সিংহ রাশি ও লগ্নের সুখী হওয়ার উপায়

সিংহ লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘরের রাশি হল  বৃশ্চিক রাশি,যা কালপুরুষের কুণ্ডুলীর অষ্টম ঘরের রাশি।যে অষ্টম ঘর থেকে কালপুরুষের দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা সহ গুপ্তধন,গুপ্তবিদ্যা,ইত্যাদির বিচার করা হয় । কালপুরুষের কুণ্ডুলী ব্যতীত যে কোন কুণ্ডুলীর বিচার অসম্পূর্ণ থেকে যায় ।যে কোন কুণ্ডুলীতে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর প্রভাব বিদ্যমান থাকে ।                       সিংহ লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘর কালপুরুষের কুণ্ডুলীর প্রভাব যুক্ত হওয়ার চতুর্থ ঘরের শুভফল পেতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।অর্থাৎ জায়গা-জমি, বাড়ি-গাড়ি বা অন্যান্য সুখের বিষয়াদি,মায়ের সুখ বা মায়ের সাথে সুসম্পর্ক বা মায়ের শরীর স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়াদি থেকে শুভফল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা উৎপন্ন হয় । উক্ত সব বিষয়াদি থেকে মানুষিক কষ্ট-যন্ত্রণা পেতে হয় বা উক্ত সব বিষয়াদি থেকে  আচানক সমস্যাও দেখতে পাওয়া যায় । অবশ্য জাতক -জাতিকা তাদের চতুর্থ ঘর নিয়ে সংবেদনশীল থাকলে কালপুরুষের অষ্টম ঘরের অশুভ প্রভাব কম পরিলক্ষিত হয় বা শুভ ফলও পাওয়া যায়।        এছাড়াও চতুর্থ ঘরের সাথে কোন শুভ গ্রহের বা শুভ ঘরের সংযোগে অশুভ ফল ক

তুলা লগ্ন ও রাশির পরিশ্রমের সরল উপায়

তুলা লগ্ন বা রাশির তৃতীয় ঘরের রাশি হল ধনু রাশি । যে  রাশি থেকে উক্ত লগ্ন বা রাশির সাহস,পরাক্রম,ছোট ভাই-বোন,পাড়া-পড়শী,ছোট যাত্রা,লেখনী কার্য্য,বিভিন্ন দলিল পত্র,সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির বিচার করা হয় ।                               আমরা জানি যে কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর মহত্ব অসীম। কালপুরুষের কুণ্ডুলী ব্যতীত যে কোন কুণ্ডুলীর অধ্যায়ন কখনও পূর্ণতা লাভ করতে পারে না ।                    তুলা লগ্ন বা রাশির তৃতীয় ঘরের ধনু রাশি হল কালপুরুষের কুণ্ডুলীর নবম ঘরের রাশি ।যে রাশি থেকে কালপুরুষের ধর্ম, ভাগ্য, পিতা এবং উচ্চশিক্ষার বিচার করা হয় ।        তুলা লগ্ন বা রাশির তৃতীয় ঘরে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর নবম বা ভাগ্যের ঘরের অবস্থান দ্বারা উক্ত লগ্ন বা রাশির জাতিক-জাতিকাদের তৃতীয় ঘরের বিষয়াদির দ্বারা ভাগ্যের গঠনকে ইঙ্গিত করে । অর্থাৎ  কর্মক্ষেত্রে ছোট ভাইবোনের সহযোগিতা,পাড়া-পড়শীর সাথে যুক্ত কর্ম,ছোট-খাটো যাত্রার সাথে সংযুক্ত কর্ম,লেখনী কার্য্য যেমন -বিভিন্ন দলিল পত্রাদি লেখার কাজ,সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কর্ম করলে কর্ম ক্ষেত্রে সাফল্য বা পরিশ্রমকে সার্থক রূপ দে

সিংহ রাশি ও লগ্নে গুরুর দশাফল ।

সিংহ লগ্ন বা রাশির পঞ্চম ও দ্বাদশ ভাবের অধিপতি দেবগুরু বৃহস্পতি । মানে একটি শুভ এবং একটি অশুভ ভাবের অধিপতি গুরু ।                         স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে গুরু উক্ত লগ্ন বা রাশির ক্ষেত্রে কোন ভাবের ফল প্রদান করেন বা কিভাবে ফল প্রদান করেন ?                         এর উত্তর আমরা খুঁজে পাই যে গুরু উক্ত লগ্ন বা রাশির ক্ষেত্রে দুটি ভাবেরই ফল প্রদান করেন । গুরুর ধনু রাশির ফল ---                            গুরুর দশা বা অন্তর্দশার সাথে যখন কোন শুভ ভাবের অধিপতির দশা বা অন্তর্দশা আসে,তখন গুরু ধনু রাশি বা পঞ্চম ভাবের ফল প্রদান করেন ।আবার কোন শুভ ভাবের দশা - অন্তর্দশার সময় যখন গুরুর দশা - অন্তর্দশা আসে,তখনও গুরু ধনু রাশির ফল প্রদান করেন । যেমন গুরুর দশা - অন্তর্দশার সাথে যদি মঙ্গলের দশা - অন্তর্দশা আসে তখন গুরু ধনু রাশির ফল প্রদান করেন   গুরুর মীন রাশির ফল ---                                        গুরুর দশা - অন্তর্দশার সাথে যখন কোন অশুভ ভাবের দশা - অন্তর্দশা আসে,তখন গুরুর মীন রাশির ফল প্রাপ্তি হয় । আবার কোন অশুভ ভাবের দশা - অন্তর্দশার সাথে যখন গুরুর দশা - অন্তর্দশা

কুম্ভ রাশি ও লগ্নের ব্যবসার সাফল্য

কুম্ভ লগ্ন বা রাশির সপ্তম ভাবে সিংহ রাশির অবস্থান।যে সিংহ রাশি থেকে কালপুরুষের পঞ্চম ভাবের বিচার করা হয়। আর কালপুরুষের পঞ্চম ভাব থেকে জ্ঞান,শিক্ষা,সন্তান,বিনোদন,প্রেম সম্বন্ধ ইত্যাদির বিচার করা হয় । যেহেতু কালপুরুষের পঞ্চম ভাব কুম্ভ লগ্ন বা রাশির ব্যবসার ভাবে স্থান পেয়েছে,অতএব কালপুরুষের পঞ্চম ভাব অর্থাৎ সিংহ রাশির কারকতত্ব সম্বন্ধীয় ব্যবসার প্রতি অনুপ্রাণিত করে কুম্ভ লগ্ন বা রাশির জাতক জাতিকাদের ।                                  কুম্ভ লগ্নের জাতক জাতিকারা  সিংহ রাশির কারকতত্ত্ব গুলির সাথে সঠিক ভাবে সামঞ্জস্য গড়ে তুললে ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি লাভ করতে পারেন ।                       সিংহ রাশির কারক তত্ব অর্থাৎ জ্ঞান,শিক্ষা,শিশু,অনুরাগ,মনোরঞ্জন ইত্যাদি বিষয়গুলির সাথে সম্পর্ক যুক্ত ব্যবসার সাথে যুক্ত হতে পারলে ব্যবসায়ে সাফল্য পাওয়া যায় ।                        যেমন কবি,লেখক,উপন্যাসকার বা লেখনী কার্য্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত ব্যবসা,শিক্ষকতা বা শিক্ষা কার্য্যের সাথে যুক্ত ব্যবসা,শিশুদের সাথে সম্পর্কযুক্ত ব্যবসা,সিনেমা - থিয়েটারের সাথে সম্পর্ক যুক্ত ব্যবসা,প্রশাসনিক

কুম্ভ লগ্ন ও রাশির দুঃখ-কষ্ট সমাধানের ঠিকানা l

  যে কোন লগ্ন বা রাশির ক্ষেত্রে অষ্টমঘরকে নাকারাত্মক ঘর হিসাবে দেখা হয় ।কুম্ভ লগ্ন বা রাশির অষ্টম ঘরের রাশি হল কন্যা রাশি । যে কন্যা রাশি কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘর তথা রোগ,ঋণ, শত্রুর  ঘরের রাশি।                                 আমরা জানি যে কোন কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার করতে হয় । কালপুরুষের কুণ্ডুলী ব্যতীত যে কোন   কুণ্ডুলীর বিচার কখনও সম্পূর্ণ  হয় না । কালপুরুষের ষষ্ঠ ঘর যে কোন কুণ্ডুলীর যে ঘরে অবস্থান করে,সেই ঘর সেই কুণ্ডুলীর জাতক-জাতিকার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠে ।কুম্ভ লগ্ন বা রাশির অষ্টম ঘরে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘর অবস্থান করায়,তাদের অষ্টম ঘর অন্যদের তুলনায় অধিক চ্যালেঞ্জিং হয় ।অবশ্য যদি উক্ত লগ্ন বা রাশির জাতক জাতিকারা তাদের অষ্টম ঘরের বিষয়াদির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা এবং ভালোভাবে যাচাই করে কর্ম করেন,তাহলে তাদের অষ্টম ঘর,তাদের জন্য কষ্টদায়ক হয় না ।                    অষ্টম ঘর হল সপ্তম ঘরের দ্বিতীয় ঘর ।যেভাবে আমাদের দ্বিতীয় ঘর থেকে  আমাদের ধন-পরিবার,আত্মীয়-স্বজন এবং বাণীর বিচার করা হয় । তেমনি আমাদের অষ্টম ঘর থেকে আমাদের জীবনসঙ্গী,পার্টনার বা

কর্কট রাশি ও লগ্নে গুরুর দশাফল

কর্কট লগ্নে গুরু তথা বৃহস্পতি ষষ্ঠ এবং নবম ভাবের অধিপতি। অর্থাৎ  কর্কট লগ্নে একটি শুভ এবং একটি অশুভ ভাবের অধিপতি হলেন দেবগুরু বৃহস্পতি । গুরুর মূল ত্রিকোণ রাশি তথা কালপুরুষের কুণ্ডুলীর নবম ভাবের মালিক ধনু রাশি কর্কট লগ্নের ষষ্ঠভাবে স্থিত  এবং কালপুরুষের কুণ্ডুলীর দ্বাদশ বা ব্যয় ভাবের মালিক মীন রাশি কর্কট লগ্নের নবম তথা ভাগ্যস্থানে অবস্থিত ।                        স্বভাবতই প্রশ্ন আসে তাহলে কর্কট লগ্নে গুরু  কিভাবে ফল প্রদান করেন ?                       আসলে উক্ত লগ্নে গুরু দুটি ভাবেরই ফল প্রদান করেন  । গুরুর  মীন রাশির ফল- --                   গুরুর দশার সঙ্গে যখন অন্য কোন শুভ ভাবের অধিপতির  অন্তর্দশা চলে তখন গুরুর মীন রাশি  বা নবমভাবের ফল প্রাপ্তি হয় । যেমন গুরুর মহাদশার সাথে যদি মঙ্গলের  অন্তর্দশা চলে তখন গুরু মীন রাশি তথা নবম ভাবের ফল প্রদান করেন ।আবার মঙ্গলের মহাদশায় গুরুর অন্তর্দশার সময়ও নবম ভাবের ফল লাভ হয় । গুরুর ধনু রাশির ফল ---                  গুরুর মহাদশার সাথে যখন কোন অশুভ ভাবের অধিপতির  অন্তর্দশা চলে তখন গুরুর ধনু রাশি তথা ষষ্ঠ ভাবের ফল প্রাপ্তি হয় ।যেমন যখন গুরুর দশা

ভাগ্য পরিবর্তনের সময় যখন আসে জীবনে

একের পর এক দশা অন্তর্দশার মধ্যে দিয়ে চলে আমাদের জীবন। কোন দশা হয় আমাদের জন্য শুভ ফলদায়ী ।আবার কোন দশা হয় অশুভ ফলদায়ী।এইভাবে শুভ-অশুভ ফলের মধ্যে দিয়ে  চলে আমাদের জীবনের রেলগাড়ি।কোন দশায় আমরা সুখ অনুভব করি, তো কোন দশায় দুঃখ। কোন দশায় ওপার ধন লাভ হয়,তো কোন দশায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ।                     6/8যুক্ত দশা অন্তর্দশাকে শুভ দৃষ্টিতে দেখা হয় না ।6/8 বলতে যে গ্রহের দশা চলছে এবং যে গ্রহের অন্তর্দশা চলছে,সেই দশাপতি থেকে অন্তর্দশা 6ঘর দূরে অবস্থান করলে তাকে 6এবং অন্তর্দশাপতি থেকে দশাপতি 8ঘর দূরে অবস্থান করলে তাকে8 বলা হয় ।এমন দুটি গ্রহের দশা অন্তর্দশা আমাদের জীবনে যখন আসে,তখন সেই দশা অন্তর্দশাকে 6/8সম্পর্কযুক্ত দশা বলে ।                     উক্ত দশা অন্তর্দশায় বিভিন্ন সমস্যা, দুঃখ,কষ্ট,যন্ত্রণা আসে আমাদের জীবনে । এর পিছনে কারণ হল 6 সংখ্যাটি কালপুরুষের ষষ্ঠ ঘরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ।আর 8সংখ্যাটি কালপুরুষের অষ্টম ঘরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।                     কালপুরুষের কুণ্ডুলীতে ষষ্ঠ ঘর থেকে কালপুরুষের রোগ,ঋণ,শত্রুর বা সমস্যার বিচার করা হয় এবং অষ্টম ঘর থ

ধনু লগ্ন ও রাশির লাভদায়ক ব্যবসা

ধনু লগ্ন বা রাশি হল কালপুরুষের নবম ভাবের রাশি । কালপুরুষের ধর্ম,ভাগ্য,উচ্চশিক্ষা,পিতার বিচার ধনু রাশি থেকে করা হয় । ধনু লগ্ন বা রাশির স্বয়ং লগ্ন বা রাশি কালপুরুষের নবম ভাবের রাশি হওয়ায়,উক্ত লগ্ন বা রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে কালপুরুষের নবম ভাবের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে । যদি না লগ্ন বা রাশি, রাশির অধিপতি এবং কারক সূর্য বিশেষ পীড়িত না হয়।                  জ্যোতিষ শাস্ত্রে সপ্তম ভাব থেকে ব্যবসার বিচার করা হয়ে থাকে । ধনু রাশি বা লগ্নের সপ্তম ভাবে বুদ্ধি প্রদানকারী গ্রহ বুধের মিথুন রাশি বিদ্যমান । মিথুন রাশি থেকে কালপুরুষের সাহস-পরাক্রম,ছোট যাত্রা,লেখনী কার্য্য,ছোট ভাই-বোনের বিচার করা হয়ে থাকে ।                           যে কোন ভাবের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকা বা বৃদ্ধি নির্ভর করে সেই ভাবের বিপরীত ভাবের সাথে  ব্যালেন্স  রাখার উপর । যত ভালো ব্যালেন্স বজায় রাখা যায়,তত ভাব দুটির বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি হয় ।                               ধনু লগ্ন বা রাশির জাতক জাতিকারা  নিজের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিথুন রাশির বৈশিষ্ট্যের  যত ভালো সংমিশ্রণ তৈরী করতে পারবেন বা  ব্যালেন্স  তৈরী করতে পারবেন ত

কর্কট লগ্ন ও রাশির জাতকদের পরিশ্রম ও ভাগ্যের সম্পর্ক

ভাগ্য গঠন করার মূল চাবি হল পরিশ্রম ।পরিশ্রম যত করা যাবে ততই ভাগ্যের গঠন ভালো হবে ।অবশ্য নিয়ম শৃঙ্খলা এবং ঈশ্বর নির্দেশিত পথের মধ্যে দিয়ে পরিশ্রম করে ভাগ্য গঠন করলে সেই ভাগ্যের ভিত্তিও শক্ত এবং সুন্দর হয় ।                     জ্যোতিষ শাস্ত্রে পরিশ্রমের বিচার তৃতীয় ঘর থেকে এবং ভাগ্যের বিচার নবম ঘর থেকে করা ।কর্কট লগ্ন বা রাশির ক্ষেত্রে পরিশ্রমের ঘরে কন্যা রাশি এবং ভাগ্যের ঘরে মীন রাশির অবস্থান ।                         কন্যা রাশি কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘরের রাশি আর মীন রাশি দ্বাদশ ঘরের রাশি ।কন্যা রাশি থেকে কালপুরুষের রোগ-ঋণ-শত্রু বা বিভিন্ন সমস্যার বিচার করা হয় ।আর মীন রাশি থেকে কালপুরুষের খরচের বিচার করা হয় ।              কালপুরুষের সমস্যা এবং খরচের মত নাকারাত্মক দুটি রাশি কর্কট রাশির পরিশ্রম এবং ভাগ্যের ঘরে অবস্থান করায় উক্ত ঘর দুটি নিয়ে কর্কট লগ্ন বা রাশির জাতক-জাতিকাদের সংঘর্ষ করতে হয় ।কারণ কালপুরুষের কুণ্ডুলীর প্রভাব আমাদের যে কোন কুণ্ডুলীতে দেখতে পাওয়া যায়।কালপুরুষের কুণ্ডুলী ব্যতীত কোন কুণ্ডুলীর বিচার বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ হয় না ।                       কর্কট লগ্ন বা রা

লগ্ন বা রাশিতে সূর্যের অবস্থান এবং শুভ ফল বৃদ্ধির উপায়

যে কোন কুণ্ডুলীর লগ্ন এবং রাশি হল সেই কুণ্ডুলীর মূল ভিত্তি ।লগ্ন এবং রাশির বলাবলের নির্ভর করে আমাদের জীবনের সফলতা এবং বিফলতা। যদি লগ্ন এবং রাশি বলবান হয়,তাহলে জীবন সংগ্রামে সমস্ত বাধা বিপত্তিকে দূর করে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি জীবনে । আর যদি লগ্ন এবং রাশি দূর্বল হয় তাহলে জীবনে সফলতা অর্জন করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।                                  আমাদের সৌর জগতের মূল ভিত্তি হল সূর্য। সূর্যের সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে টিকে আছে আমাদের পৃথিবী সহ সমস্ত গ্রহ,নক্ষত্র সহ অসংখ্য ধুমকেতু সহ অনেক কিছু ।সূর্যকে সৌরজগতের রাজাও বলা হয় ।আর পৃথিবী সহ বাকি গ্রহ নক্ষত্র হল সূর্যের রাজ পরিবারের সদস্য ।স্বভাবতই গ্রহ-নক্ষত্রের  মধ্যে সূর্যের মহত্ব অধিক।সূর্য ছাড়া সৌর জগতের অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রের কল্পনা করা যায় না ।                     আমরা প্রাণী জগৎ এবং উদ্ভিদ জগৎ সূর্য দেবতার আশীর্বাদের ফলে বেঁচে আছি ।সূর্যদেব প্রতিনিয়ত আলো প্রদান করে আমাদের জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ।নিজে প্রতিনিয়ত  জ্বলে আমাদেরকে আলো প্রদান করে পৃথিবী সহ সমগ্র সৌর জগতের কল্যাণ করে চলছেন ।                         সূর্য সি

লগ্ন ও রাশিতে শনির অবস্থান ও শুভফল বৃদ্ধির উপায় ।

লগ্নস্থানে বা রাশিস্থানে ন্যায় এবং কর্মের দেবতা শনিদেবের অবস্থান জাতক-জাতিকাকে ন্যায়-নীতিজ্ঞ এবং কর্মপ্রেমী করে তোলে ।এমন জাতক-জাতিকারা অল্পভাষী হন ।অর্থাৎ কম কথার পরিবর্তে কাজে বিশ্বাসী হন।কারো সাথে অন্যায়-অবিচার নিজেও করেন না এবং কারো দ্বারা অপরের প্রতি অন্যায় অবিচার সহ্যও করতে পারেন না ।                       শনিদেবের বৈশিষ্ট্যযুক্ত জাতক জাতিকারা পরোপকারী হন। বিশেষত গরীর-শ্রমজীবী মানুষের সাহায্য- সহযোগিতা করে পরম তৃপ্তি লাভ করেন ।                       লগ্ন বা রাশিতে শনির অবস্থানে যে কোন জাতক জাতিকার জীবনে পরিশ্রম অবশ্য অধিক করতে হয়।কিন্তু সেই পরিশ্রমের কারণে সাফল্যও আসে অধিক পরিমাণে ।শনি  লগ্ন বা রাশিতে অবস্থান করার কারণে জীবনে প্রাপ্তি অবশ্য সবকিছুই হয় ।কিন্তু শনি slow moving planet হওয়ার কারণে সবকিছু বিলম্বের মধ্যে দিয়ে প্রাপ্তি  হয়।স্বভাবতই পরিশ্রমের ফল দেরিতে আসে ।কিন্তু যা আসে, তা ব্যয় হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে । কারণ পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে কোন কিছু অর্জন করলে,সেটা ব্যয় করার আগে যে কোন ব্যক্তি শতবার চিন্তা করবেন ।                            অতএব শ্রমের কারক

ধনু লগ্ন ও রাশির বিবাহিত জীবন পরিচালনার সরল মাধ্যম

দেবগুরু বৃহস্পতির মূল ত্রিকোণ রাশি হল ধনু রাশি। যে কোন কুণ্ডুলীর বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর   গুরুত্ব অসীম। কালপুরুষের কুণ্ডুলী ব্যতীত কুণ্ডুলী বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না ।ধনু রাশি হল কালপুরুষের কুণ্ডুলীর নবম ঘরের রাশি ।যে রাশি থেকে কালপুরুষের  ধর্ম,জ্ঞান,উচ্চশিক্ষার বিচার করা হয় ।              কালপুরুষের নবম ঘরের রাশি ধনু লগ্ন বা রাশির লগ্ন বা রাশি স্থানে স্থান পাওয়ায়,উক্ত লগ্ন বা রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে কালপুরুষের নবম ঘরের বৈশিষ্ট্যগুলি দেখতে পাওয়া যায় ।অর্থাৎ জাতক-জাতিকা ধার্মিক,জ্ঞানী এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহী বা যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত হন ।তবে যদি লগ্ন বা রাশি বা লগ্ন বা রাশির অধিপতি দেবগুরু বৃহস্পতি পাপ পীড়িত বা কোন অশুভ গ্রহের দ্বারা বা কোন অশুভ ঘরের সাথে  সম্পর্কযুক্ত হন,তাহলে জাতক-জাতিকার মধ্যে উপরিউক্ত গুণাবলীগুলি কম দেখা যায়।তবে কালপুরুষের নবম ভাবের বা গুরুর বৈশিষ্ট্য কম বেশি অবশ্যই থাকে ।                   অন্যদিকে উক্ত লগ্ন বা রাশির সপ্তম ঘরের রাশি হল মিথুন রাশি ।যে রাশির অধিপতি হল বুধ গ্রহ ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর হিসাব অনুযায়ী মিথুন রাশি কালপুরুষের তৃত

Popular posts from this blog

মিথুন রাশি ও লগ্নের সুখ বৃদ্ধির চাবিকাঠি ।

  যে কোন লগ্ন বা রাশির সুখের বিচার করা হয় সেই লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘর থেকে।চতুর্থ ঘরে অবস্থান রত গ্রহ বা চতুর্থ ঘরে বিভিন্ন গ্রহের দৃষ্টি বা চতুর্থ ঘরের অধিপতির সাথে বিভিন্ন গ্রহের বা অন্য ঘরের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় যে কোন লগ্ন বা রাশির আধিকারিকের জীবনে সুখের হিসাব।                সেই সবের উপরেও যে কোন ব্যক্তির জীবনের  সুখের বিষয় নির্ভর করে চতুর্থ ঘরে অবস্থান রত রাশির উপর ।মিথুন রাশি বা লগ্নের চতুর্থ ঘরে অবস্থান রাশি হল কন্যা রাশি ।যে কন্যা রাশি কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘরের রাশি । যে রাশি থেকে কালপুরুষের রোগ,ঋণ,শত্রু বা বিভিন্ন সমস্যার বিচার করা হয় ।                     আমরা জানি যে কোন কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীকে কখনও অস্বীকার করা যায় না ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ছাড়া কুণ্ডুলী বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না ।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর ষষ্ঠ ঘর  মিথুন লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘরে অবস্থান করায় উক্ত লগ্ন বা রাশির চতুর্থ ঘর তাদের জন্য চতুর্থ ঘরের বিষয় গুলির ক্ষেত্রে সমস্যাযুক্ত হয়ে উঠে ।                           চতুর্থ ঘর থেকে ভূমি,বাহন, মা ,মায়ের সুখ

বৃশ্চিক রাশি ও লগ্নের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায়

    যে কোন কুণ্ডুলী বিচারে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার অবশ্যই করতে হয়।কালপুরুষের কুণ্ডুলীর বিচার ছাড়া কুণ্ডুলী বিচার কখনও সম্পূর্ণ হয় না । কালপুরুষের কুণ্ডুলীর হিসাব অনুযায়ী বৃশ্চিক রাশি হল কালপুরুষের অষ্টম ঘরের রাশি।যে রাশি থেকে কালপুরুষের কুণ্ডুলীর নেগেটিভ হিসাবে দুঃখ,কষ্ট,,যন্ত্রণা, মৃত্যু বা মৃত্যুতুল্য কষ্টের বিচার করা হয় ।আর  পজেটিভ হিসাবে গুপ্তধন,গুপ্তবিদ্যা এবং গুপ্ত রহস্যের মত বিষয়ের বিচার করা হয় ।                            বৃশ্চিক লগ্ন বা রাশির, লগ্ন বা রাশি স্থানে কালপুরুষের সবচেয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভরা রাশির অবস্থান,স্বভাবতই উক্ত লগ্ন বা রাশির অধিকারীদের ব্যক্তিত্ব এবং মন মানুষিকতার মধ্যে একটা অজানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা রহস্য কাজ করে ।যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা দ্বন্দ্বভাব তাদের মধ্যে দেখা যায়।যদি না তারা নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা এবং নিয়ম নীতির মধ্যে চলেন ।আর এসবের পিছনের কারণ তাদের লগ্ন বা রাশিস্থানে  কালপুরুষের অষ্টম ঘরের প্রভাব।          আসলে বৃশ্চিক রাশিকে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রাশি বলা যায়।যে রাশি থেকে কালপুরুষের দুঃখ,কষ্ট যন্ত্রণার সাথে মৃত্যুরও বিচার কর

লগ্নে ও রাশিতে কেতুর অবস্থান ও শুভফল লাভের উপায়

কেতু ! এমন একটি নাম,যে নাম শুনলে সবার মধ্যেই কম বেশি ভয়ের বাতাবরণ কাজ করে।সৌর জগতে রাহু এবং কেতুর কোন অস্তিত্ব নেই । বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে রাহু-কেতুকে ছায়া গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ।                         পৌরাণিক কথা অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু যখন দেবতাদের মধ্যে অমৃত বণ্টন করছিলেন,তখন               স্বরভানু নামের রাক্ষস দেবতা সেজে চন্দ্র এবং সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে অমৃত বণ্টনকালীন সময়ে দেবতা সেজে অমৃত  খেয়ে নিয়েছিলেন ।ভগবান বিষ্ণুকে যখন এই কথাটি চন্দ্র এবং সূর্য জানান,তখন ভগবান বিষ্ণু উনার সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে সেই  স্বরভানু  নামের রাক্ষসের গলা কেটে দেন । কিন্তু গলা কাটার আগেই  স্বরভানু  অমৃত খেয়ে ফেলায় উনি ওমর হয়ে যান শরীরের দুই টুকরো রূপে ।মাথা থেকে গলা পর্যন্ত একভাগ,যাকে আমরা রাহু নামে জানি এবং গলা থেকে পা পর্যন্ত দ্বিতীয় ভাগ যাকে আমরা কেতু নামে জানি ।                               সূর্য ও চন্দ্র দেবতা ভগবান বিষ্ণুকে সেই সময়  স্বরভানুর  দেবরূপ ধারন করে অমৃত পান করার ঘটনাটা জানানোয় এবং যার ফল স্বরূপ উনার দেহ দু-টুকরো হওয়ার জন্য  স্বরভানু   বলেছিলেন যে সুযোগ